শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫ - ১৫:৫২
প্যাহেলগাম হামলা নিয়ে সৈয়দ জন মহম্মদ জায়দীর কড়া প্রতিক্রিয়া

সৈয়দ জন মহম্মদ জায়দী এক জোরালো বিবৃতি দিয়ে বলেন, আমরা ভারতবাসী। আমরা বিভেদ চাই না। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-জৈন—সকল সম্প্রদায় মিলেমিশে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমাদের ঐক্যই আমাদের শক্তি।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি প্যাহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে গোটা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও চিন্তাবিদ সৈয়দ জন মহম্মদ জায়দী এক জোরালো বিবৃতি দিয়ে বলেন, আমরা ভারতবাসী। আমরা বিভেদ চাই না। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-জৈন—সকল সম্প্রদায় মিলেমিশে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমাদের ঐক্যই আমাদের শক্তি।

তিনি বলেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগকে অস্ত্র বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছে এবং সমাজে বিচ্ছেদ ও বিদ্বেষের বিষবৃক্ষ রোপণ করছে। ২৬/১১, পুলওয়ামা ও সর্বশেষ প্যাহেলগামের হামলা, এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

জায়দী বলেন, এই ধরনের হামলার পেছনে দুইটি উদ্দেশ্য কাজ করে—প্রথমত, রাজনৈতিক ফায়দা লোটা, দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে, তারা কোনোভাবেই মুসলিম নয়। তারা প্রকৃতপক্ষে কাফের। কোরআনে বলা আছে—‘লা ইক্বরাহা ফিদ্দিন’, অর্থাৎ দ্বীনে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।

তিনি আরও বলেন, প্যাহেলগামের হামলাকারীরা যদি নিজেদের মুসলমান দাবি করে, তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত, সন ৬১ হিজরিতে কারবালার প্রান্তরে ঠিক এমন মুখোশধারী মুসলমানরাই ইমাম হোসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছিল। আজকের সন্ত্রাসীরাও সেই একই মানসিকতার ধারক।

সৈয়দ জন মহম্মদ জায়দী বলেন, মুখে কলমা পড়া, দাড়ি রাখা, নামাজ পড়া কিংবা হাজী হওয়া এক জনকে প্রকৃত মুসলমান বানায় না। ধর্মের নামে হত্যা যারা করে, তারা আসলে মানবতার শত্রু।

শেষে তিনি বলেন, প্যাহেলগামের ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না—এটি চরম নিন্দনীয়। আমরা এর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়াই। সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস হোক। ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ হোক। হিন্দু-মুসলিম ঐক্য বজায় থাক—এই হোক ভারতের প্রকৃত পরিচয়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha